Nolen Gurer Makha Sandesh : নলেন গুড়-ছানার প্রেমে তৈরি মাখা সন্দেশে মজে বাঙালি

Nolen Gurer Makha Sandesh: ঠান্ডা পড়তেই ব্যাপক চাহিদা নলেন গুড়ের মিষ্টির। শীত পড়তে না পড়তেই নদিয়ার শান্তিপুরে বিভিন্ন মিষ্টির দোকানে শুরু হয়েছে নলেন গুড়ের মাখা সন্দেশ (Nolen Gurer Makha Sandesh)-এর রমরমা। না, এ বছরই প্রথম নয়। প্রত্যেক বছরেই শীতের মরশুম নলেন গুড়ের মাখা সন্দেশ দিয়েই শুরু হয়।

আরও পড়ুন: ভেনিসে সমুদ্রের নীচে মিলল ২ হাজার বছরের প্রাচীন রাজপথ 
 

নদিয়ার কৃষ্ণনগর শহরের প্রসিদ্ধ মিষ্টি হল সরপুরিয়া (Sarpuria) ও সরভাজা (Sarbhaja)। নদিয়ার কৃষ্ণনগরের সরপুরিয়া (Sarpuria), সরভাজা (Sarbhaja)-র মতো শান্তিপুরের মাখা সন্দেশের যথেষ্ট কদর ও সুখ্যাতি রয়েছে।

আরও পড়ুন: এই মাছের ৫৫৫টি দাঁত! রোজ ২০টা ভাঙে আবার গজায়... 
 

মাখা সন্দেশ যেটা অনেকের কাছে কাঁচাগোল্লা হিসাবে সুপরিচিত। তবে এই বিশেষ মিষ্টির উৎসস্থল সম্পর্কে অনেকেই অজ্ঞাত। মূলত দীপাবলি উৎসবের মুহূর্ত থেকে শান্তিপুরে মাখা সন্দেশ তৈরির কাজ চলে একদম দোল উৎসবের মরশুম পর্যন্ত।

আরও পড়ুন: দু'হাতে কোনও ক্রমে ঢাকার চেষ্টা! পুনমের বোল্ড TOPLESS ছবি ভাইরাল
 

এবং এই মিষ্টান্ন সর্বাধিক বিক্রির সময় হল শান্তিপুরের ঐতিহ্যপূর্ণ রাস উৎসব। কারণ এই সময় অগণিত মানুষ বিভিন্ন অঞ্চল থেকে শান্তিপুরে আসেন।

আরও পড়ুন: গোলাপী বিকিনিতে সি বিচে উষ্ণতা ছড়ালেন TV অভিনেত্রী

তাঁরা মহাসমারোহে ঠাকুরকে নিবেদন করার উদ্দেশ্যে ও নিজেদের আহারের উদ্দেশ্যে মাখা সন্দেশ সংগ্রহ করেন বলেই জানা যাচ্ছে।

আরও পড়ুন: তুলাইপাঞ্জি আর বাঁশকাঠি চালে ধামাকা অফার দিচ্ছে রাজ্য, মিলবে Whatsapp-এ 
 

তবে মাখা সন্দেশ চিনি ও গুড়ের- এই দুই ধরনের হয়। অন্যদিকে, গুণমানের দিক থেকে এই মিষ্টি মিহি সন্দেশ ও দানা সন্দেশ এই দুই প্রকারের ও হয়ে থাকে।

সাধারণত নলেন গুড়ের মাখা সন্দেশ (Nolen Gurer Makha Sandesh) তৈরির কাজ শুরু হয় শীতের মরশুম থেকেই। এই সময় থেকেই এই মিষ্টি এক নতুন মর্যাদা পায়। এই সন্দেশ দেখতে অনেকটা লাল বা হালকা লালচে প্রকৃতির। নলেন গুড়ের মাখা সন্দেশ স্বাদে ও গন্ধে যথেষ্ট প্রশংসার দাবিদার। 

শান্তিপুরে এই জাতীয় সন্দেশের দাম প্রতি কেজি ৩০০ টাকা আবার কোথাও তার কিছুটা বেশি।

এই ধরণের সন্দেশ তৈরি করতে গেলে প্রথমে ছানাকে কাঠের পাটাতনে ভাল করে মাখাতে হয়। এরপর খেজুরের গুড় ও চিনি কড়াইয়ের মধ্যে দিয়ে তার ভিতর ওই ছানাকে ফেলে দিয়ে জ্বলন্ত আগুনের কড়াইয়ে ভাল করে নাড়াচাড়া করতে হয়।

প্রথমে এক ধরনের ক্ষীরের মতো দেখতে লাগে। এরপর গরম কড়াই থেকে ট্রের ওপর খাদ্যবস্তুটিকে ঢালা হয়। আস্তে আস্তে এটি জুড়িয়ে গেলেই পরিণত হয় মাখা সন্দেশে।

বাইরের মানুষদের কাছে এই সন্দেশের চাদিদা যথেষ্টই বেশি। বিয়ের মরশুম থেকে শুরু করে যে কোনও উৎসব অনুষ্ঠানে এই জাতীয় সন্দেশের যথেষ্ট চাহিদা রয়েছে।

কাজেই এক কথায় বলা যেতে পারে শান্তিপুরের প্রসিদ্ধ মিষ্টি নিকুতির  এবং কৃষ্ণনগরের বিখ্যাত মিষ্টি সরপুরিয়া (Sarpuria)-র পাশাপাশি এই নলেন গুড়ের মাখা সন্দেশ (Nolen Gurer Makha Sandesh) সমানে টেক্কা দিচ্ছে। তবে এই ধরনের মিষ্টির কলকাতার বাজারে যথেষ্ট মার্কেটিংয়ের প্রয়োজন রয়েছে বলে বেশ কিছু মিষ্টিবিক্রেতার মত।